Thursday, 2 July 2020

সিজারে পুরুষ কেন???


বাংলাদেশে কি নারী ডাক্তারের এতোটাই অভাব?আপনারা যারা বিয়ে করেছেন, ছেলে মেয়ের বাবা হবেন তারা কান খাড়া করে শুনুন।

আপনার স্ত্রীকে ডেলিভারির নামে কিসের সিজার করাচ্ছেন,,যে সিজার পুরুষ ডাক্তার দিয়ে করানো হয়।

মনে রাখবেন, আপনার স্ত্রীর গোপণ অঙ্গ আপনি ব্যতীত কোনো পুরুষের দেখার অধিকার নেই।
যদি এমনটা হয়,তাহলে কাল কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর নিকট এর জবাবদিহিতা আপনাকেই করতে হবে

এই লজ্জাটা কার?লজ্জাটা আপনার।
এই লজ্জাটা গোটা মানবজাতির।

আসুন নিয়ম বদলাই।

অন্যান্য দেশ গুলোতে স্ত্রীর ডেলিভারির সময় স্বামীকে পাশে রাখা হয়।এতে স্ত্রীর মন অনেক বেশী আত্মবিশ্বাসী হয় ওঠে।আর স্ত্রীরা ভাবে নতুন কোনো মানুষকে পৃথিবীতে আনতে হয়তো আমার মৃত্যুও হতে পারে,কিন্তু আমার সৌভাগ্য যে,আমার এই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আমার স্বামী আমার পাশে আছে,আপাতত আমি তার চেহারার দিকে তাকিয়ে সব যন্ত্রণা হাসিমুখে মেনে নিতে পারবো।

কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে আঁতুরঘর তো দুরের কথা হসপিটাল এর অপারেশন রুমের আশেপাশেও স্বামীকে রাখা হয় না।
কিছু কিছু ডাক্তারের আত্মসম্মানে লাগে স্বামী পাশে থাকতে চাইলে।

আমি মনে করি একজন স্বামী যদি তার স্ত্রীর পাশে থেকে ডেলিভারি বা সিজারের কষ্ট টা নিজ চোখে দেখে,, তবে স্বামী পরবর্তীতে স্ত্রীর সাথে কখনোই খারাপ ব্যবহার করার সাহস হতো না, সে যতো নিষ্ঠুর পুরুষই হোক না কেন। একটু হলেও তার স্ত্রীকে মায়ার আচলে আগলে রাখতো।

আমি জানি বাংলাদেশে হয়তো এই নিয়মটা কখনোই বদলাবে না, তারপরও মানুষ একটু হলেও সচেতন হোক এবং মহিলা ডাক্তার দ্বারা তার স্ত্রীর ডেলিভারি বা সিজার করাক।

 @এস.এ মাসুম

Monday, 25 May 2020

কি ভাবছেন- করোনা সহসাই চলে যাবে?



কি ভাবছেন- করোনা সহসাই চলে যাবে? করোনা তো সহসা যাচ্ছে না ভ্যাকসিন বাজারে না আসা পর্যন্ত। আর সেতো কমকরে হলেও বছর খানেকের ব্যপার।
 তাহলে উপায় কি ? ভয় পেয়ে আজীবন লকডাউনে থাকবেন, ঘরে বসে থেকে জীবনটা কাটিয়ে দেবেন? মাস্ক পরে, সাবান বা সেনিটাইজার ব্যবহার করে??এসবের কোনোটিই সমস্যার সমাধান নয়। ঘরের বাইরে আমাদের যেতেই হবে। করোনার সাথে বসবাসে আপনাকে অভ্যস্ত হতেই  হবে। নীচের বিষয়গুলো আমরা follow করতে পারি করনাকে পরাজিত করার জন্যে:
♦️আপনাকে অবশ্যই Social Distancing নির্দেশনা follow করতে হবে এবং আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
♦ শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলে আপনাকে হার্ট ও ডায়াবেটিস,  রক্তচাপ, হাঁপানি, কিডনি, লিভার, জাতীয় ইত্যাদি রোগ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
 ♦️রাস্তাঘাটের জান্কফুড, আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংক মানে চিনিসমৃদ্ধ পানীয় এবং খাবার বর্জন করতে হবে। তেল-চর্বি কম খেতে হবে।
♦️মদ্য ও ধূমপান করছেন তো করোনার কাছে আত্মসমর্পণ করে বসলেন।
♦️ফ্রেশ শাকসবজি, ফলমূল, মাছ বেশি খাবেন। প্রচুর ভিটামিন সি, ই, ডি খাবেন। ভিটামিন ডি পেতে হলে সূর্যস্নান করতে হবে প্রতিদিন।
♦️প্রতিদিন খাবারে পারলে অন্তর্ভুক্ত করবেন- তিনটি খেজুর, এক চামচ কালো জিরা। ভাত, রুটি বা চিনিজাতীয় খাবার একদম কম খাবেন। সামর্থ ও সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন পরিমিত চিজ, বাটার, দুধ, ডিম, দই, গরু ও খাসি ছাড়া চর্বিবিহীন মাছ, মোরগজাতীয় প্রাণিজ প্রোটিন খাবেন। বেশি চা বা কফি খাবেন না।
♦️প্রতিদিন অন্তত ত্রিশ মিনিট ব্যায়াম করবেন। দুশ্চিন্তা আপনার শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে। প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। আর ছয় থেকে সাত ঘন্টা নির্বিঘ্নে ঘুমাবেন।

♦️আপনি যদি উল্লেখিত নিয়মগুলো অনুসরণ করেন, তবে আশা করি আপনি করোনাভাইরাসকে পরাজিত করতে পারবেন।

♦️আর একটি কথা। অসীম সাহস ও আল্লাহর / সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
#এস.এ মাসুম