Saturday, 16 July 2022

“আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না"


 

"ফুফু" বাবার বোনকে বলে।

"খালা" মার    বোনকে বলে। 

বাবা-মা যে মা এর বুকের দুধ খেয়ে বড় হয়েছেন, 

ফুফু-খালা ও তেমনি ঐ মা এর বুকের দুধ খেয়েই বড় হয়েছেন।৷ 

বাবা-মা যে মা-বাবার আদর-যত্নে এবং যে মাটির ধূলো-বালি,আলো বাতাস গায়ে মেখে মানুষ হয়েছেন ফুফু-খালা ও তেমনি সেই  মা-বাবার আদর-যত্নে এবং সে মাটির ধূলো-বালি,আলো বাতাস গায়ে মেখে মানুষ হয়েছেন,

কিন্তু আাফসোস! শত আফসোস! 

বর্তমানে এই ফুফু-খালা নামের শব্দটি খুবই অবহেলিত।

ক'জন ভাইপো এবং বোনপো আছে ফুফুর-খালার খবর রাখে?সুখে-দঃখে, ভাল-মন্দে, হাসি-আনন্দে ফুফুর-খালার খোজ-খবর রাখে?

আমরা সকলেই জানি, বাবা-মা' ভাইদের ইন্তেকাল এর পর  নারীরা বাপের বাড়ীর কথা অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ভুলে যেতে থাকে।

শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত উঠোন, গাছের লিচু, পাকা আম কাঁঠাল আর পুকুর পাড়ের নারিকেল গাছ সব গুলো কেমন যেনো পর হতে শুরু করে।

শুধু তাই নয়, বাবা    এবং মার বাড়ীর মানুষগুলো ও ক্রমান্বয়ে কেমন জানি  অচেনা অজানা হতে থাকে।

অনেক ক্ষেত্রে ভাইদের এবং বোনদের ইন্তেকালের পর সবকিছুই একেবারে স্মৃতি হয়ে যায়।

ফুফু এবং খালারা আমাদের রক্ত সম্পর্কের স্বজন।

বাবা-মার দেহে যে রক্ত প্রবাহমান, ফুফু এবং খালার দেহে ও সেই রক্তই প্রবাহমান এমন কি ভাইপোর দেহে ও সেই একই রক্ত প্রবাহিত। 

তাদের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা কোন মু'মিনের জন্য মোটেও কাম্য নয়।

শরীয়তে সকল স্বজনদের  সাথে সু সম্পর্ক  রাখতে বলা হয়েছে,এবং তাদের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন না করার জন্য তাকীদ করা হয়েছে। 


১/: 

وَالَّذِينَ يَصِلُونَ مَا أَمَرَ اللَّهُ بِهِ أَن يُوصَلَ وَيَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ وَيَخَافُونَ سُوءَ الْحِسَابِ


২/ জুবায়ের ইবন মুত্বইম থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

«لا يَدْخُلُ الْـجَنَّةَ قَاطِعٌ»

“আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না"।[বুখারী-মুসলিম] ফুফুদের ভুলে যাওয়া কোন মু'মিনের জন্য মোটেও উচিৎ নয়।

তাই সদা সর্বদা ফুফু এবং খালাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখবো এবং  ছোট ছোট বাচ্ছাদের নিয়ে ফুফু এবং খালার বাড়ী বেড়াতে যাবো।হাতে করে গাছের ফল,পুকুরের মাছ,গাভীর দুধ নিয়ে যাবো।এতে শিশুরা আমাদের কাছ থেকে শিখবে।তারাও তাদের ফুফুকে, খালাকে যত্ন নিবে। ফুফুরা-খালারা ও ভাইপো    এবং বৌনপোদের জন্য চকলেট কিনে রাখুন ভাইয়ের সন্তান এবং বোনের সন্তানের মতো এদেরকেও কাছে টানুন।

রক্তের বন্ধন অটুট রাখার চেষ্টা দু'পক্ষই সমান তালে করে যেতে হবে।আল্লাহ আমাদের সামাজিক বন্ধনকে মজবুত করুন(আমীন)।🤲🤲

@এস.এ মাসুম

Friday, 8 July 2022

ফেসবুকে আলহামদুলিল্লাহ বলে ক্রয়কৃত কোরবানির পশুর ছবি পোস্ট করা হলো "রিয়া"এর অন্তর্ভুক্ত।"


 ফেসবুকে আলহামদুলিল্লাহ বলে ক্রয়কৃত কোরবানির পশুর ছবি পোস্ট করা হলো "রিয়া"এর অন্তর্ভুক্ত।"

(রিয়া অর্থ হলো-লোক দেখানো ইবাদাত। যা শিরকের অন্তর্ভুক্ত)

ফেসবুকে একমাত্র মানুষকে দেখানোর জন্য, আর নিজের বড়ত্ব জাহির করার জন্যই পোস্ট করা হয়, এছাড়া আর কোনো যৌক্তিক কারন নাই..!!

অথচ কোরবানি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা হয়।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক ও হেদায়েত দান করুক। (আমিন🤲)
@samasumbd

Saturday, 21 May 2022

যাদের রাতে ঘুমাতে দেরি হয়, তাদের জন্য‼️

 



যাদের রাতে ঘুমাতে দেরি হয়, তাদের জন্য‼️

এক ব্যক্তি হযরত ইব্রাহিম ইবনে আদহাম (রহঃ) এর সাথে তর্ক করছিলো যে- 'বরকত' বলতে কিছুই নেই।

তিনি বললেন, তুমি কি ছাগল ও কুকুর দেখেছো?

লোকটি বলল, জি দেখেছি।

শায়খ লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন- বলতো কুকুর আর ছাগল এর মধ্যে কে বেশি বাচ্চা দেয়?

লোকটি বললো, কুকুর।

শায়খ বললেন, এদের মধ্যে তুমি কোন জন্তুটিকে 

বেশি দেখতে পাও, কুকুর না ছাগল?

লোকটি বললো, ছাগল।

শায়খ ইব্রাহিম ইবনে আদহাম (রহঃ) বললেন, 

"ছাগলকে জবেহ করা হয়, এরপর ও ছাগলের 

সংখ্যায় বেশি দেখা যায়, কমে না। 

এটা কি বরকত নয়?

লোকটি বললো, এর কারণ কি- ছাগলের মধ্যে 

বরকত হয়, আর কুকুরের মধ্যে বরকত হয় না?

শায়খ বললেন, ছাগল সন্ধ্যা হতেই ঘুমিয়ে যায়, আর ভোরে জাগ্রত হয়, এই সময়টাই হয় রহমত ও বরকত বর্ষণের মুহূর্ত। ফলে তার মধ্যে বরকত হয়। 

আর কুকুর সারা রাত জাগ্রত থাকে ফজরের আগে ঘুমায়। তাই সে বরকত থেকে বঞ্চিত থাকে।

একটু_চিন্তার_বিষয়, 

নবীজি (সঃ) এর সুন্নাত হলো- এশার নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে যাওয়া। শেষ রাতে জাগ্রত হয়ে তাহাজ্জুদ পড়া, কেননা আল্লাহ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে প্রথম আসমানে নেমে এসে বান্দাদের কে দোয়া করার জন্য ক্ষমা চাওয়ার জন্য ডাকতে থাকেন।

আর আমরা? সাড়া রাত মোবাইলে, ইন্টারনেটে 

হারাম কাজে ব্যস্ত থেকে ঠিক এই সময়ে ঘুমিয়ে পড়ি। আর ফজরের তো খবরই নেই।

অথচ রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, ফজরের কেবল দুই রাকাত সুন্নাত সালাত পৃথিবী এবং এর মধ্যে যা আছে সবকিছুর চাইতে উত্তম, সুবহানআল্লাহ। তাহলে দুই রাকাত ফরজের কতটা মর্যাদা হতে পারে? এমন অতি মূল্যবান সময় আমরা ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেই। তাহলে আমাদের কাজ কর্মে আল্লাহ বরকত দিবেন কিভাবে? 

আবার আমরাই দোয়া করে অস্থির হয়ে যাই আর ভাবি - আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেন না কেনো?

তাই আসুন আমরা এখনই নিজেকে পরিবর্তন করি, আল্লাহর বিধান সমূহকে যথাযথভাবে গুরুত্বের সাথে পালন করি। তাহলে আশা করা যায়, তিনি আমাদের দোয়া কবুল করবেন এবং কাজকর্মে বরকত দিবেন, ইনশাআল্লাহ। 

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার 

তৌফিক দান করুন, আল্লাহুম্মা আমিন।

@এস.এ মাসুম

Monday, 9 May 2022

"রিয়া" তথা লোক দেখানো ইবাদত আল্লাহ কবুল করেন না!


 ১) নামায শেষ করে উঠে যাওয়ার সময় জানতে পারলাম মেহমান চলে এসেছে। এজন্য মেহমান ঘরে প্রবেশ করা পর্যন্ত জায়নামাজে বসে থাকলাম। সম্পুর্ন ইচ্ছাকৃত না হলেও অবচেতন মন চাইছে নামায যে পড়তেছি মেহমান দেখুক! এটি ই রিয়া।


২) কেউ জিজ্ঞেস করলো-আপনি কি করছেন?
উত্তরে বললাম-আমি নামায পড়ে উঠে নাস্তা করতেছি বা নামায পড়ে উঠে এখন রান্না করতেছি।এখানে শুধু নাস্তা বা রান্না করার কথা বললেই হতো, সাথে -নামায পড়ে উঠে" কথাটি জুড়ে দিয়ে অতি সুক্ষভাবে নামাযকে প্রচারে নিয়ে আসা হল। এটি ই রিয়া।

৩) ফজরে যে নামায পড়তে উঠলাম কিন্তু কেউ জানলো না, তাই সেটা মানুষকে জানানোর জন্য দিলাম ফেসবুকে একটা পোস্ট, লিখলাম : "সবাই নামায পড়তে উঠুন/ঐ সময় ই ফজর নামাজের ফযীলত সম্পর্কিত/শাস্তি নিয়ে পোস্ট করলাম।" আমি জানি আমার এই পোস্টে কারো ঘুম ভাংগবেনা,তাও দিলাম। মোদ্দাকথা নামাযের ব্যাপারটা সবাইকে জানাতেই হবে। এটি ই রিয়া।

৪) নফল রোজা রেখে দুপুরে বন্ধুর সাথে চ্যাট করছি, হঠাৎ তাকে জিজ্ঞেস করেছি,ভাত খেয়েছিস কিনা?অথচ আজীবন তার ভাতের খবর নেয়নি,সে হ্যাঁ/না উত্তরের সাথে যে "তুই খেয়েছিস?"এটা জিজ্ঞেস করবে সেটার গ্যারান্টি সূর্য উঠার মতই,সে সুযোগে না দোস্ত রোজা রেখেছি বলে রোজার প্রচার করে দিলাম, এটি ই রিয়া।

৫) কুরবানির গরু কিনলাম, অফলাইনের আশেপাশের সবাই দেখলেও অনলাইন বন্ধুদের সামনে তো আর শো আপ করা হলো না।তাই প্রাইভেসি পাবলিক করে দিয়ে দিলাম পোস্ট, আলহামদুলিল্লাহ্‌ Done এইটি রিয়া।

৬) বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় মজার ছলেই টেকনিকে বলে দিলাম, তুই বেটা কিপটা, কিছুই দান করিস না। প্রতিউত্তরে, "তুই কি দান করে উল্টিয়ে ফেলছিস? এই প্রশ্নটা যে করবে তা জানুয়ারির পর ফেব্রুয়ারি আসার মতই নিশ্চিত আমি, সাথে সাথেই দিয়ে দিলাম আমার দানের লিস্ট, সম্পূর্ণ ডিটেল সহকারে। এইটি রিয়া।

উপরের প্রত্যেক উদ্দীপক পড়ে কিছু আয়ত্ত করতে পারলেন কি? একেই বলে রিয়া। এতক্ষণ যে ইবাদত গুলো করলাম সেগুলা কি আল্লাহর জন্য, নাকি লোক দেখানো? লোক দেখানো মানেই রিয়া।

কখনো ভেবেছেন, এসব ইবাদত আদৌ কবুল হবে কি? উপরোক্ত প্রত্যেকটি ইবাদতই হলো "রিয়া"

আল্লাহ আমাদের রিয়ামুক্ত ইবাদতের তৌফিক দান করুক। আল্লাহুম্মা আমিন।❤️
@এস.এ মাসুম

Monday, 11 October 2021

মধ্যবিত্তদের এখন সংসার চালানোই দায়!


 সয়াবিন তেল - ৭২৮ টাকা ( ৫ লিটার ) 

ব্রয়লার সোনালী মুরগি - ৩০০ টাকা (কেজি)

গরুর মাংশ - ৬০০ টাকা (কেজি)

ডিম - ১১০-১১৫ টাকা ( ডজন ) 

কাচকি মাছ - ৪৫০-৫০০ টাকা ( কেজি) 

রুই - ২৮০-৩০০/৩২০ টাকা ( কেজি, মিডিয়াম সাইজ ) 


পেয়াজ- ৬৮-৭০ টাকা কেজি 

টমেটো -১৫০ টাকা কেজি

পেঁপে - ৩০ টাকা কেজি 

ডেরশ - ৬০-৭০ টাকা কেজি 

শিম - ১৩০ টাকা কেজি

পটল - ৬০ টাকা কেজি 

বেগুন, সবুজ - ৭০ টাকা কেজি 

চিচিঙ্গা - ৬০ টাকা কেজি 

ঝিঙা - ৬৫-৭০ টাকা কেজি 

কাঁচা মরিচ - ২২০ টাকা কেজি 


মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ গুলো কিভাবে সংসার চালায় জানেন?  😪😪 উপার্জনের থেকে ব্যয় বেশি এখন। শখ পূরণ তো দূরের বিষয় 😪😪


#মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে যদি একটু নজর দিতেন । 😪😪


©এস.এ মাসুম

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা নিছক বিধানের উপর নির্ভর করে না !


অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী পরস্পর ঝগড়া করার সময় একজন অপরজনকে নিজের অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আর বলে “আপনি আগে আমার অধিকার গুলো আদায় করুন! তুমি আগে নিজের দায়িত্ব পালন করো।“

.
এইক্ষেত্রে আমরা বলব, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা নিছক বিধানের উপর নির্ভর করে না। এই সম্পর্কের ভিত্তি হল প্রেম-ভালোবাসা। প্রত্যেকেই একে অপরের দায়িত্ব পালনে সচেষ্টা থাকবে এবং নির্ধারিত দায়িত্ব থেকেও অধিক করার মানসিকতা রাখবে। কখনো কখনো উভয়েই সেক্রিফাইস করবে।
.
পরিবার কোন শরীকানা প্রতিষ্টান না যে এখানে প্রতিপক্ষ স্বরূপ দুই শরীক একে অপরের কাছ থেকে কড়া-গন্ডায় হিসেব নিবে। পরিবারে কোনভাবে বিতর্ক দেখা দিলে উভয়েই আল্লাহ প্রদত্ত ভালবাসা ও মুহাব্বতের কাছে আশ্রয় নিবে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলছেন, আর তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে একটি হল, তিনি তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের জন্য সংগিনীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তোমাদের মাঝে পরস্পারিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
.

যখন পরিবারে ‘আমার অধিকার’, ‘তোমার দায়িত্ব’ - এই শব্দগুলোই প্রতিধ্বনিত হতে থাকে, তখন বুঝতে হবে এই পরিবার সেই পবিত্র ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি যার উপর একে প্রতিষ্ঠা করা দরকার ছিল। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান কিংবা কোম্পানির ভিত্তি থাকে ন্যায়ের উপর। কিন্তু পরিবারের ভিত্তি থাকে আরো উর্ধ্বে, একে অপরকে প্রাধান্য দান এবং আত্মত্যাগের উপর। প্রেম ও ভালবাসার উপর।

©এস.এ মাসুম

Thursday, 2 July 2020

সিজারে পুরুষ কেন???


বাংলাদেশে কি নারী ডাক্তারের এতোটাই অভাব?আপনারা যারা বিয়ে করেছেন, ছেলে মেয়ের বাবা হবেন তারা কান খাড়া করে শুনুন।

আপনার স্ত্রীকে ডেলিভারির নামে কিসের সিজার করাচ্ছেন,,যে সিজার পুরুষ ডাক্তার দিয়ে করানো হয়।

মনে রাখবেন, আপনার স্ত্রীর গোপণ অঙ্গ আপনি ব্যতীত কোনো পুরুষের দেখার অধিকার নেই।
যদি এমনটা হয়,তাহলে কাল কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহর নিকট এর জবাবদিহিতা আপনাকেই করতে হবে

এই লজ্জাটা কার?লজ্জাটা আপনার।
এই লজ্জাটা গোটা মানবজাতির।

আসুন নিয়ম বদলাই।

অন্যান্য দেশ গুলোতে স্ত্রীর ডেলিভারির সময় স্বামীকে পাশে রাখা হয়।এতে স্ত্রীর মন অনেক বেশী আত্মবিশ্বাসী হয় ওঠে।আর স্ত্রীরা ভাবে নতুন কোনো মানুষকে পৃথিবীতে আনতে হয়তো আমার মৃত্যুও হতে পারে,কিন্তু আমার সৌভাগ্য যে,আমার এই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আমার স্বামী আমার পাশে আছে,আপাতত আমি তার চেহারার দিকে তাকিয়ে সব যন্ত্রণা হাসিমুখে মেনে নিতে পারবো।

কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে আঁতুরঘর তো দুরের কথা হসপিটাল এর অপারেশন রুমের আশেপাশেও স্বামীকে রাখা হয় না।
কিছু কিছু ডাক্তারের আত্মসম্মানে লাগে স্বামী পাশে থাকতে চাইলে।

আমি মনে করি একজন স্বামী যদি তার স্ত্রীর পাশে থেকে ডেলিভারি বা সিজারের কষ্ট টা নিজ চোখে দেখে,, তবে স্বামী পরবর্তীতে স্ত্রীর সাথে কখনোই খারাপ ব্যবহার করার সাহস হতো না, সে যতো নিষ্ঠুর পুরুষই হোক না কেন। একটু হলেও তার স্ত্রীকে মায়ার আচলে আগলে রাখতো।

আমি জানি বাংলাদেশে হয়তো এই নিয়মটা কখনোই বদলাবে না, তারপরও মানুষ একটু হলেও সচেতন হোক এবং মহিলা ডাক্তার দ্বারা তার স্ত্রীর ডেলিভারি বা সিজার করাক।

 @এস.এ মাসুম